একটা প্রশ্ন করি, তোমার সম্পর্ক কি ধুঁকছে? কথায় কথায় ঝগড়া, অযথা মান-অভিমান, একে অপরকে না বোঝার সমস্যা? তোমার প্রেম বা বন্ধুত্ব যেন একটা রোলারকোস্টার যেখানে কখনও একসাথে হাসছ, তো পরের মুহূর্তেই ব্লক করে বসে আছো! বিশ্বাস করো, এমন হলে তুমি একা নও।
কিন্তু জানো কি? এই সব আধুনিক সমস্যার সমাধান আধুনিক যুগের নয়, বরং হাজার বছরের পুরনো গ্রন্থে লুকিয়ে আছে! হ্যাঁ, আমি বলছি বেদ সম্পর্কে! শোন, বেদের এই ৬টি নিয়ম মেনে চললে, তোমার সম্পর্ক হবে অটুট, গভীর, আর ড্রামা-ফ্রি!
১. সত্য বলো, কিন্তু প্রেম দিয়ে
বেদ বলে, ‘সত্যং ব্রূযাত প্রিয়ং ব্রূযাত ন ব্রূযাত সত্যমপ্রিয়ম’, সত্য কথা বলো, কিন্তু এমনভাবে বলো যাতে অন্যজনের মন ভেঙে না যায়। সরাসরি বললেই যদি ঝগড়া লাগে, তাহলে একটু কৌশলী হও! কৌশলী মানে মিথ্যে বলা নয়, বরং সত্যিটা এমনভাবে বলা যাতে সেটা গ্রহণযোগ্য হয়।
২. অহংকার ত্যাগ করো, সম্পর্ক বাঁচবে!
তুমি কি কখনও ‘আমি কেন আগে মেসেজ করবো?’ টাইপের ইগো-গেম খেলেছো? এই অহংকারই সম্পর্ক ধ্বংসের মূল! বেদে বলা আছে, ‘অহংকারম্ বিনাশায়’, অহংকার সম্পর্কের বিষ, তাই আগে থেকে একে ঝেঁটিয়ে বিদায় করো!
৩. ধৈর্য ধরো, সব ভালো জিনিস সময় নেয়
কোনো কিছু একটু খারাপ হলেই ব্রেকআপ, ব্লক, এটা কি কোনো সমাধান হলো? বেদ শেখায়, ‘ক্ষান্তি পরমং তপঃ’, ধৈর্যই হল আসল শক্তি! তাই সম্পর্কের ছোটখাটো সমস্যায় ভেঙে না পড়ে বরং ধৈর্য ধরো, সমাধান খোঁজো।
৪. দান করো, কৃপণতা নয়
শুধু টাকা-পয়সা নয়, সময়, ভালোবাসা আর যত্নও দানের মধ্যে পড়ে! বেদ বলে, ‘যথা দানং তথা লাভঃ’, তুমি যত দেবে, ততই ফিরে পাবে। তাই কৃপণতা নয়, বরং সম্পর্কের জন্য উদার হও!
৫. ক্ষমা করতে শেখো, প্রতিশোধ নয়
‘তুমি এটা করেছ, আমি এর বদলা নেব’, এই মানসিকতা সম্পর্ক শেষ করে দেয়! বেদ বলে, ‘ক্ষান্তির বিনা শান্তি ন ভবতি’, ক্ষমাই শান্তি আনে। প্রতিহিংসার আগুনে নিজেকেই পোড়াবে, তাই ক্ষমা করো, এগিয়ে যাও!
৬. বিশ্বাস রাখো, সন্দেহ নয়
একবার ভাবো, অকারণে সন্দেহ করে সম্পর্ক নষ্ট করতে চাও, নাকি বিশ্বাস রেখে মজবুত করতে চাও? বেদে বলা আছে, ‘বিশ্বাসং বিনা প্রেম ন স্থায়ি’, বিশ্বাস ছাড়া প্রেম টেকে না! তাই অযথা সন্দেহ না করে, বিশ্বাস করো!