(১) আসল সৌন্দর্য ত্বকের ফর্সা রঙে নয়, বরং…
তুমি কি জানো, বেদে কোথাও বলা হয়নি যে ফর্সা চামড়া থাকলেই তুমি সুন্দর? অথর্ববেদ বলে, “সত্যম শিবম সুন্দরম,” অর্থাৎ সত্যই সুন্দর। তাই নিজের সততাকে আঁকড়ে ধরো, কারণ সৎ চরিত্রই তোমার আসল সৌন্দর্য! ইনস্টাগ্রামের ফিল্টার দিয়ে নয়, হৃদয়ের আভা দিয়ে সবাইকে আলো দাও।
(২) আত্মবিশ্বাস হলো তোমার সেরা মেকআপ!
যদি ভাবো যে নিখুঁত চেহারা ছাড়া তুমি সুন্দর নও, তবে তোমাকে ঋগ্বেদের শিক্ষা মনে করিয়ে দিই, “সর্বং সত্যং সুন্দরম।” মানে? আত্মবিশ্বাসই তোমার আসল সৌন্দর্য। ক্যামেরার সামনে হেসে ওঠো, তোমার ভেতরের আলোর দ্যুতি সবাই দেখবে!
(৩) চুলের দৈর্ঘ্য নয়, মনের প্রশান্তিই তোমার মুকুট!
যজুর্বেদে বলা হয়েছে, “শান্তি: শোভনম।” মানে? শান্ত মনই আসল সৌন্দর্যের প্রতীক! লম্বা চুল রাখো বা না রাখো, যদি তোমার মন শান্ত থাকে, তবে তোমাকে কেউ উপেক্ষা করতে পারবে না। আরে ভাই, মনের প্রশান্তিই তোমার রূপের আসল চাবিকাঠি!
(৪) বাহ্যিক সৌন্দর্যের মোহ কাটাও, কারণ…
বেদে বলা হয়েছে, “ন জনাঃ কাঞ্চনং মন্যতে,” অর্থাৎ মানুষ স্বর্ণ দেখে ভুল করে, কিন্তু আসল মূল্যবান জিনিস হলো গুণ। বাহ্যিক সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু জ্ঞানের আলো তোমাকে জীবনের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে দেবে। কসমেটিক্সের বিজ্ঞাপনে নয়, জ্ঞান অর্জনে বিনিয়োগ করো!
(৫) নারীর শক্তিই তার সৌন্দর্য!
দেবী দুর্গা যদি আমাদের আদর্শ হন, তবে শক্তিই তো সৌন্দর্যের সবচেয়ে বড় উৎস! ঋগ্বেদে বলা হয়েছে, “শক্তি বিনা ন সুন্দরম,” অর্থাৎ শক্তিহীন সৌন্দর্য মূল্যহীন। তাই আত্মরক্ষা শেখো, নিজের পায়ে দাঁড়াও, আর নিজেকে একজন পরিপূর্ণ নারী হিসেবে গড়ে তোলো।
(৬) তোমার কণ্ঠই তোমার অলঙ্কার!
কী? ভাবছো গলার হার, দুল, কিংবা টিকলিই তোমার সৌন্দর্যের পরিচয়? না রে বান্ধবী, বেদ বলে, “বাক্যং সৌন্দর্যম,” মানে তোমার কথা বলার ভঙ্গিই তোমার আসল গহনা! তাই কটুভাষী না হয়ে, এমনভাবে কথা বলো যাতে অন্যরা তোমার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়।
(৭) কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে ভালোবাসা পাওয়া যায় না!
সত্যিকারের ভালোবাসা অর্জন করতে চাইলে শুধু সুন্দর চেহারা যথেষ্ট নয়। ঋগ্বেদে বলা হয়েছে, “হৃদয়ং সুন্দরম,” মানে সুন্দর হৃদয়ই প্রকৃত সৌন্দর্য। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে সততা ও ভালোবাসাকে গুরুত্ব দাও, কারণ বাহ্যিক সৌন্দর্য মলিন হলেও হৃদয়ের সৌন্দর্য অমলিন থাকে।
(৮) প্রকৃতির সাথে সংযোগ রাখো, সৌন্দর্য বেড়ে যাবে!
বেদে বলা হয়েছে, “পৃথিবী মাতাঃ, পিতঃ দ্যৌঃ,” মানে প্রকৃতিই আমাদের জন্মদাত্রী। তাই যদি নিজের সৌন্দর্য দীর্ঘস্থায়ী করতে চাও, তবে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকো, বিশুদ্ধ খাবার খাও, এবং সময় পেলে সূর্যের আলোয় একটু হাঁটাহাঁটি করো!
(৯) সৌন্দর্যের সংজ্ঞা অন্য কেউ ঠিক করতে পারে না!
এই ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের যুগে আমরা সবসময় অন্যদের চোখে সুন্দর দেখাতে চাই। কিন্তু তুমি জানো কি, অথর্ববেদ বলে, “স্বয়ং সুন্দরম,” মানে? তুমি যেমন, তেমনই সুন্দর! সমাজের স্ট্যান্ডার্ডে নিজেকে ফেলে দিও না, নিজের সৌন্দর্য নিজেই সংজ্ঞায়িত করো।
শেষ কথা:
এখন বলো তো, আসল সৌন্দর্য কী? মেকআপের স্তর নাকি আত্মার জ্যোতি? চুলের কার্ল নাকি আত্মবিশ্বাস? আসল সৌন্দর্য বাহ্যিক নয়, অভ্যন্তরীণ, এই সত্য মেনে নাও আর নিজেকে ভালোবাসতে শেখো! তুমি কি মনে করো সমাজের সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলানো দরকার? তোমার মতামত কমেন্টে জানাও!