তুমি কি এমন স্বামী চাও যে,
- তোমাকে সম্মান করবে?
- প্রেমে বউকে ‘কুইন’ ভাববে?
- সংসারের দায়িত্ব বুঝবে?
- বউয়ের কথায় কান দেবে, কিন্তু শাশুড়ির কথায় বউয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে না?
তাহলে, বোন, তুমি একদম ঠিক জায়গায় এসেছো! কারণ, আজ আমরা বলব বেদের সেই ৯টি গোপন নিয়ম, যা মেনে চললে জীবনসঙ্গী খুঁজতে আর কষ্ট হবে না!
আমাদের পূর্বপুরুষরা জানতেন, সুখী দাম্পত্য জীবনের মূল চাবিকাঠি কী! কিন্তু আমরা আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার ‘প্রেম দর্শন’ দেখে এসব ভুলে গেছি। তাই তো ডেটিং করে, ইনস্টাগ্রামে লাভ স্টোরি শেয়ার করে, শেষে কান্নাকাটি করতে হয়!
এবার আসল কথায় আসি, বেদের মতে কেমন স্বামী পাওয়া উচিত, আর তার জন্য কী করা দরকার?
১. তুমি যেমন, তেমনই স্বামী পাবে (ঋগ্বেদ ১০.৮৫.৪৭)
বোন, এটা বুঝতে হবে, জীবন আয়নার মতো! যদি তুমি চাইলে তোমার স্বামী সত্, পরিশ্রমী, আর ধার্মিক হোক, তাহলে তোমাকেও সেই গুণগুলো অর্জন করতে হবে।
তাই ‘খারাপ ছেলে ভালো হয়ে যাবে’, এই ভুল স্বপ্ন দেখা বন্ধ করো! নিজেকে উন্নত করো, ভালো মানুষ হও, তাহলে ভালো জীবনসঙ্গী আপনিই আসবে!
২. প্রার্থনা করো, শুধু ছেলেদের নয়, নিজের জন্যও! (অথর্ববেদ ৭.৩৬.১)
বিয়ের আগে শুধু স্বামীর গুণাবলীর জন্য প্রার্থনা করলে হবে না, নিজের জন্যও করতে হবে!
তুমি যদি শান্তিপ্রিয়, বুদ্ধিমতী, ও সৎ হও, তাহলে এমনই এক সঙ্গী তোমার জীবনে আসবে। কারণ, সংসারে একা স্বামী ভালো হলে হবে না, স্ত্রীকেও ভালো হতে হবে!
তাই প্রতিদিন ভগবানকে বলো, “আমার চরিত্রকে উন্নত করো, যেন আমি একজন যোগ্য জীবনসঙ্গী পাই।”
৩. ফিল্টার ছাড়া জীবনসঙ্গী খুঁজো (ঋগ্বেদ ৩.৫৩.১৪)
ছেলেদের পছন্দ করার সময় তুমি কী দেখো?
লুকস?
টাকা?
গাড়ি?
বেদের মতে, একজন পুরুষের আসল সম্পদ হলো তার চরিত্র, জ্ঞান, আর সত্যবাদিতা! সে কেমন মানুষ, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুধু চেহারা দেখে ভুল সিদ্ধান্ত নিও না, বোন!
৪. প্রেমের নামে নিজেকে বিক্রি কোরো না! (ঋগ্বেদ ৮.৩৩.১৯)
এই যুগে সম্পর্ক মানেই “প্রেম কর, টাকা খরচ কর, ব্রেকআপ কর, আবার প্রেম কর”, হবে না!
বেদ বলে, নারী কখনো কারো বস্তু নয়। তোমার মূল্য টাকা বা উপহারের ওপর নির্ভর করে না! যে ছেলেরা সম্পর্কের নামে তোমাকে মানসিক চাপ দেয়, তারা কখনো ভালো স্বামী হতে পারবে না!
তাই একটুখানি ভালোবাসার জন্য নিজের আত্মসম্মান বিক্রি কোরো না!
৫. পাত্র ঠিক করতে ‘গুগল’ নয়, নিজের বিবেক ব্যবহার করো! (যজুর্বেদ ২০.৮৫)
বিয়ের আগে বাবা-মা আর বন্ধুরা ১০০ জন ছেলের কথা বলবে, সোশ্যাল মিডিয়া ১০০০ জনের প্রোফাইল দেখাবে! কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত তোমার।
তাই নিজের বিবেককে প্রশ্ন করো, এই মানুষটার সঙ্গে সারাজীবন কাটানো সম্ভব?
একটা ছেলে শুধু ভালো প্রেমিক হলেই চলবে না, সে ভালো স্বামীও হবে তো?
৬. ধৈর্য ধরো, হুট করে সিদ্ধান্ত নিও না! (অথর্ববেদ ১৪.১.২০)
“আমার সব বান্ধবীরা বিয়ে করে ফেলেছে, আমি একা একা থাকব?”, এই চিন্তায় হুট করে কাউকে বিয়ে করলে পরে পস্তাতে হবে!
বেদের মতে, সঠিক মানুষ আসতে সময় লাগে, তাই ‘যত তাড়াতাড়ি, তত ভালো’, এই ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসো!
৭. সংসার মানেই শুধু ভালোবাসা নয়, দায়িত্বও! (ঋগ্বেদ ৫.৫২.১৭)
“তুমি আমাকে ভালোবাসো, আমি তোমাকে ভালোবাসি, বিয়ে করি”, এভাবে জীবন চলে না! সংসারে ভালোবাসার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, আর দায়িত্ববোধ।
শুধু ‘মুভির মতো’ সম্পর্ক কল্পনা করলে চলবে না, বাস্তবতাও বুঝতে হবে!
৮. যা বোঝো না, সেটা বিয়ে করার আগে শিখে নাও! (অথর্ববেদ ১৪.২.৬৪)
সংসার কীভাবে চালাতে হয়, সম্পর্ক কীভাবে টিকিয়ে রাখতে হয়, এসব স্কুলে শেখায় না! কিন্তু বেদে সংসারের সব নিয়ম লেখা আছে।
তাই বিয়ে করার আগে একটু পড়াশোনা করো,
- দাম্পত্য জীবনের দায়িত্ব কী?
- একজন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?
- কী করলে সুখী সংসার সম্ভব?
সুখী দাম্পত্যের জন্য শুধু ‘প্রেম’ জানলেই হয় না, সংসার চালানোর জ্ঞানও লাগবে!
৯. ‘ভালোবাসার জন্য সবকিছু করব’, এ ভুলেও বলো না! (ঋগ্বেদ ১০.৩৪.১৩)
“প্রেমের জন্য সবকিছু করব”, এই ডায়লগ সিনেমায় ভালো লাগে, বাস্তবে না!
ভালোবাসা মানে কখনোই আত্মসম্মান বিসর্জন দেওয়া নয়। যে সত্যিকারের ভালোবাসে, সে কখনো তোমাকে তোমার নীতি ও স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হতে বলবে না!
সত্যিকারের ভালোবাসা তোমাকে উন্নত করবে, নিচে নামাবে না।